দু’পায়ে ব্যান্ডেজ দেয়া মেয়েটি শুকনা মুখে পড়েছিল ওয়ার্ডের এক কোনে। পরনে ছিন্ন ভিন্ন কাপড়। দূর্গন্ধের জন্য আশপাশের রোগীদের স্বজনরা পর্যন্ত কাছে ভিড়তে পারছিলনা। প্রাথমিক ভাবে রোগীর খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করতে বেরিয়ে এল থলের বিড়াল। ওয়ার্ডে মেয়েটার পেশেন্ট ফাইলই খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং প্রায় ২০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও কোন ডাক্তার মেয়েটিকে দেখেনি। নার্সের বক্তব্য ফাইলটি কোথাও(?) আছে। পরবর্তীতে ওয়ার্ড বয় একটি সাদা বিছানা চাদর দিয়ে মেয়েটির গা ঢাকতে সাহায্য করে।
 
মেয়েটির সাথে কথা বলে যতটা তথ্য পাওয়া গেছে তা নিচে দেয়া হল। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি মেয়েটার পরিবারে খবর পাঠাতে পারলে অনেক বড় উপকার হবে।
 
রুমা আক্তার(১৮-২২ বছর বয়স)। পিতাঃ আবুল হোসেন, মাতাঃ সালেহা বেগম, গ্রামঃ ঈসা খাঁ, হাজী বাড়ী, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা। ২ ভাই (আল আমিন, শরিফ) ৪ বোন(পারভিন, ডলি, হাসিনা, রুমা)। বাবা শুটকির ব্যবসা করে। ১২-১৫ দিন আগে পরিবারের সাথে চট্টগ্রাম আসে। যাওয়ার পথে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গতরাতে ট্রেন দূর্ঘটনায় দুই পায়ে গুরুতর আহত হয়। পহেলা আগষ্ট ২০১৬ রাত দশটার দিকে চমেক হাসপাতালে ২৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
DSC03455